ঢাকা , শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫ , ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
কোনো দলের প্রতি সেনাবাহিনীর আলাদা নজর নেই : সেনা সদর সর্দি-জ্বরে জর্জরিত দেশ আগামী নির্বাচন প্রতিটি নাগরিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের সিদ্ধান্ত কিশোরগঞ্জ ভেঙে বাজিতপুরকে জেলায় রূপান্তরের দাবি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় অনুমোদনে চরম অনিয়ম আউটসোর্সিং খাতের নীতিমালা সংশোধনের দাবি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বদলে যাচ্ছে ট্রেনের সময় কার্যকর ১০ আগস্ট ফেনীতে হাসিনা-নিজাম হাজারীসহ ২২১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট মৌলভীবাজারে সেপটিক ট্যাংকে নেমে যুবকের মৃত্যু ঢামেকে ভুয়া চিকিৎসক সেজে রোগীর সঙ্গে প্রতারণায় আটক ২ ১০ দিনে বাসার দখল নিতে হবে সরকারি চাকরিজীবীদের থানায় ঢুকে ‘মব’ সৃষ্টি : তিনজন কারাগারে গণতন্ত্র চর্চা করলে সমাজের বৈষম্য হ্রাস পায়-উপদেষ্টা নওগাঁয় হত্যা মামলায় দু’জনের মৃত্যুদণ্ড ও ধর্ষণ মামলায় দু’জনের যাবজ্জীবন নওগাঁ সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বিএসএফের পুশ ইন সংঘবদ্ধ চক্রের হাতে জিম্মি ডেসটিনি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বাণিজ্য-বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করবে : ঢাকা চেম্বার সার কারখানা চালু রাখতে বন্ধ করতে হচ্ছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিবর্তন আসছে সরকারি কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনায়
নদী রক্ষায় নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোড

সুনামগঞ্জে ১০৬ নদী মরতে বসেছে

  • আপলোড সময় : ১৯-০৩-২০২৫ ১০:৫১:১৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০৩-২০২৫ ১০:৫১:১৪ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জে ১০৬ নদী মরতে বসেছে
সুনামগঞ্জ জেলায় ছোট-বড় ১০৬টি নদী রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি ঢল, বন্যা ও পলি ভরাটে প্রায় সব নদীই কম-বেশি ভরাট হয়েছে। পলি ভরাটে প্রায় মৃত রূপ ধারণ করেছে পুরাতন সুরমা নদী। তবে নদী রক্ষায় এরইমধ্যে নানা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নদীমাতৃক বাংলাদেশে এক সময় যেসব খরস্রোতা নদীগুলো ছিল, এখন সেগুলো আর দেখা যায় না। পলিমাটি ও বালি পড়ে অনেক নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে নদীপথে নাব্যসঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম সুনামগঞ্জের পুরাতন সুরমা নদী। ৭২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই নদীটি সুনামগঞ্জ, শান্তিগঞ্জ, দিরাই ও শাল্লা উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নেত্রকোনার ধনু নদীতে মিশেছে। একসময় এই নদী দিয়ে কার্গো জাহাজ, লঞ্চ চলাচল করলেও বর্তমানে পলিমাটি ও বালি পড়ে ভরাট হওয়ায় ডিঙি নৌকা চলাচলও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তলদেশ ভরাট হওয়ায় স্থানীয়রা ধান চাষ, গবাধিপশু চরানোসহ খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করছেন। শুধু পুরাতন সুরমা নয়, একই অবস্থা জেলার ১০৬টি নদীর। বিশেষ করে সুনামগঞ্জের ১২০ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত জাদুকাটা, রক্তি, বৌলাই ও পাটলাই নদীতে পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে বালিমাটি ও পলি জমে নদী ভরাট হয়ে গেছে। ফলে ১৩৬ কিলোমিটার নৌপথজুড়ে দেখা দিয়েছে চরম নাব্য সংকট। এতে আটকা পড়ে আছে শতাধিক মালবাহী বাল্কহেড। নদী তীরবর্তী বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, এক সময় জেলার এই নদীপথে জাহাজ, লঞ্চ ও বড় বড় নৌকা চলাচল করত। নদীতে মাছ ধরা যেত। পাশাপাশি নদী কেন্দ্রিক ব্যবসাও ছিল জমজমাট। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পলি ভরাটের ফলে নদীগুলো মৃত রূপ ধারণ করেছে। আজাদ মিয়া বলেন, আমরা চাই সুনামগঞ্জের প্রতিটি নদী যেন দ্রুত খনন করা হয়। এতে নদীগুলো তাদের যৌবন ফিরে পাবে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, সুনামগঞ্জের প্রতিটি নদী রক্ষায় এরইমধ্যে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। দ্রুত এগুলো খননের উদ্যোগ নেয়া হবে। এসব নদী খননে দ্রুত উদ্যোগ নিলে একদিকে যেমন নদীগুলো তার পুরোনো যৌবন ফিরে পাবে, অন্যদিকে আবারো নৌপথ কেন্দ্রিক ব্যবসা বাণিজ্য জমজমাট হবে। চাঙ্গা হবে জেলার অর্থনীতি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স